চুল কাটায় স্টাইল বন্ধ, সব শিক্ষার্থীদের মার্জিতভাবে চুল কাটাতে হবে। কেউ স্টাইলে চুল কাটিং করে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছেন নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার মো. বজলুর রহমান।
স্টাইলে চুল কাটা বন্ধ করতে তিনি মঙ্গলবার একটি সেলুনে গিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার বজলুর রহমান থানা মোড়ের সুশান্তের সেলুনে গিয়ে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের স্টাইলে চুল কাটিং বন্ধ করে মার্জিতভাবে চুল কাটিং করানোর বিষয়ে কথা বলতে যান।
সেখানে মানিক নামে এক নাপিতের কাছে এক শিক্ষার্থী চুল কাটাচ্ছিল। তখন মানিককে মার্জিতভাবে চুল কাটার নির্দেশনা দেন বজলুর রহমান।
সেখানেই তিনি বলেন, আর কোনো শিক্ষার্থী স্টাইলে চুল কেটে স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না।
এ বিষয়ে একাডেমিক সুপারভাইজার মো. বজলুর রহমান বলেন, অল্প দিনের মধ্যে সব বিদ্যালয়ে সেমিনারের মাধ্যমে মার্জিতভাবে চুল কেটে শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসার নির্দেশ দেয়া হবে। একই সঙ্গে প্রত্যেক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ করে তাদের সন্তানদের চুল কাটিংসহ চলাফেরার বিষয়ে নজরদারি করার পরামর্শ দেয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, পথ চলতে যেখানে সেলুনের দোকান পাই সেখানে মার্জিতভাবে শিক্ষার্থীদের চুল কাটানোর কথা বলি। গুরুদাসপুরে আর বখাটে মার্কা চুল কাটানো চলবে না।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. হাফিজুর রহমান জানান, সব শিক্ষার্থীকে মার্জিতভাবে চুল কাটাতে হবে। একাডেমিক সুপারভাইজার মো. বজলুর রহমানকে বলা আছে তিনি বিষয়টি দেখবেন।
Leave a Reply